ঢাকা ০৭:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুল কপিতে স্বপ্ন পূরণের আশা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৭:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৭
  • ২৬৪ বার
হাওর বার্তা ডেস্কঃ এবারের বন্যার কারণে বাজারে সব রকম সবজির দাম চড়া। নতুন সবজি না ওঠা পর্যন্ত এভাবে দাম চড়া থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার পরও কৃষক হাত গুটিয়ে বসে নেই। তাদের নিরন্তর চেষ্টায় এখনও সবজির দেখা মিলছে বাজারে।
এবার এই চড়া দামের ফুলকপি চাষ করে আশায় বুক বেঁধেছেন উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার দানগাছি মহল্লার আদর্শ কৃষক মোকলেছুর রহমান। তিনি এবার বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে চাষ করেছেন ফুল কপি। তিন বিঘা (৩৩শতক) জমিতে চাষ করা ফুলকপির গাছ বেশ বড় হয়ে উঠেছে।
মোকলেছ আশা করছেন আর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই ক্ষেতের ফুলকপি বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। বর্তমান বাজরে প্রতি মণ ফুল কপির দাম ২৮শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা। তিন বিঘা জমিতে ফুল কপি চাষে এ পর্যন্ত মোকলেছের খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। তিনি আশা করছেন কপি ক্ষেতে কোন রোগ বালাইয়ের আক্রমণ না হলে তিনি প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার কপি বিক্রি করতে পারবেন। শুধু ফুলকপিই নয়। মোকলেছ তার বাড়ি সংলগ্ন আরো দুই বিঘা জমিতে বেগুন ও লাউয়ের আবাদ করেছেন। বাজারে এখন বেগুনের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর প্রতিটি মাঝারি সাইজের লাউয়ের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বেগুন ও লাউ থেকে মোকলেছ আরো ১ লাখ টাকা আয়ের টার্গেট করেছেন।
মোকলেছ জানান, আমি সবজি ছাড়া অন্য আবাদ তেমন করি না। ভালো মান ও ভালো জাতের সবজি উত্তম পদ্ধতিতে চাষাবাদ করাই আমার উদ্দেশ্য। তাই উৎপাদিত সবজি ক্ষেত থেকেই পাইকাররা নিয়ে যায়।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

ফুল কপিতে স্বপ্ন পূরণের আশা

আপডেট টাইম : ১২:৩৭:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৭
হাওর বার্তা ডেস্কঃ এবারের বন্যার কারণে বাজারে সব রকম সবজির দাম চড়া। নতুন সবজি না ওঠা পর্যন্ত এভাবে দাম চড়া থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার পরও কৃষক হাত গুটিয়ে বসে নেই। তাদের নিরন্তর চেষ্টায় এখনও সবজির দেখা মিলছে বাজারে।
এবার এই চড়া দামের ফুলকপি চাষ করে আশায় বুক বেঁধেছেন উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার দানগাছি মহল্লার আদর্শ কৃষক মোকলেছুর রহমান। তিনি এবার বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে চাষ করেছেন ফুল কপি। তিন বিঘা (৩৩শতক) জমিতে চাষ করা ফুলকপির গাছ বেশ বড় হয়ে উঠেছে।
মোকলেছ আশা করছেন আর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই ক্ষেতের ফুলকপি বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে পারবেন। বর্তমান বাজরে প্রতি মণ ফুল কপির দাম ২৮শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা। তিন বিঘা জমিতে ফুল কপি চাষে এ পর্যন্ত মোকলেছের খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। তিনি আশা করছেন কপি ক্ষেতে কোন রোগ বালাইয়ের আক্রমণ না হলে তিনি প্রায় দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার কপি বিক্রি করতে পারবেন। শুধু ফুলকপিই নয়। মোকলেছ তার বাড়ি সংলগ্ন আরো দুই বিঘা জমিতে বেগুন ও লাউয়ের আবাদ করেছেন। বাজারে এখন বেগুনের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা আর প্রতিটি মাঝারি সাইজের লাউয়ের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বেগুন ও লাউ থেকে মোকলেছ আরো ১ লাখ টাকা আয়ের টার্গেট করেছেন।
মোকলেছ জানান, আমি সবজি ছাড়া অন্য আবাদ তেমন করি না। ভালো মান ও ভালো জাতের সবজি উত্তম পদ্ধতিতে চাষাবাদ করাই আমার উদ্দেশ্য। তাই উৎপাদিত সবজি ক্ষেত থেকেই পাইকাররা নিয়ে যায়।